কুড়িগ্রামে মামলার বাদিকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করল এসআই!

ধর্ষণ এখন সমাজে একটি আতঙ্কের নাম। যার কবল থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ কেওই রেহাই পায় না। দেশে বিদেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এই নেক্কারজনক কাজ। এমনকি কোন কিছুতেই তয়াক্কা করছে না এই অপরাধীরা বরং বেড়েই চলেছে। এবার স্বয়ং পুলিশের এসআই ঘটালেন এই নেক্কারজনক কাজ।

কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় দায়ের করা এক মামলার বাদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চান মিয়া। মামলার বাদি হাসনা বানু চিৎকার করলে স্থানীয়রা আটক করে ওই কর্মকর্তাকে।

এ সময় গণধোলাই দেয়া হয় লম্পট কর্মকর্তাকে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে পড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আটককৃত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকায়।

রৌমারী কলেজপাড়ার বাসিন্দারা জানান, নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই দারোগা মেয়েটিকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় উঠে। পরে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে আমরা গ্রামবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করলে থানা থেকে পুলিশ এসে বিয়ে পড়ানো হবে বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

নির্যাতিত হাসনা বানু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ করেছি থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে বিয়ে করবে বলে কলেজপাড়াস্থ একটি ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ের আয়োজন না করে আমাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ শুরু করে।’

থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাওয়ার চর গ্রামের আব্দুল হাকিমের কন্যা হাসনা বানু কিছুদিন আগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ দায়ের করে থানায়। অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই চান মিয়াকে। তদন্ত করতে গিয়ে চান মিয়া গৃহবধূর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানা প্রলোভন দেখায়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত নেয়ার জন্য অভিযুক্ত এসআই চান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার ফোন করা হয় কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

পরে এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য বাদিকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না। তবে কলেজ পাড়া গ্রামের মানুষের হাতে আটকের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।